ভালোবাসার শহর প‍্যারিস, শিল্প সাহিত‍্য সংস্কৃতির শহর প‍্যারিস।

পুরো ইউরোপ জুড়েই দেখার জায়গার শেষ নেই। কোন একটা রাস্তার ধারে বসে একটা কফি নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দেয়া যায়। অসম্ভব সুন্দর আবহাওয়া, চমৎকার ব‍্যবহারের মানুষজন আর পরিষ্কার রাস্তাঘাট… সব মিলিয়ে অনেকেরই স্বপ্ন থাকে একবার হলেও ইউরোপ ঘুরে আসার।

আমি কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম প‍্যারিস, একটা কনফারেন্স এটেন্ড করতে। ফিরে এসেছি, কিন্তু মন এখনো পড়ে আছে সেই ক‍্যাফে ডি এলবার্ট, আর রুয়ে অর্ডেনার এর রাস্তায়।

অনেক গল্প আর ছবি জমে আছে শেয়ার করার জন‍্য। আজ শুরু করলাম পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আর সুন্দর, অসাধারন লুভর মিউজিয়াম দিয়ে।

লুভর সম্পর্কে কিছু তথ‍্য:

  • লুভর এর পুরো বিল্ডিংটাকে মিউজিয়াম বানাতে প্রায় ২০০ বছর লেগে গিয়েছিলো।
  • ইতালি, মিশর ও পরবর্তীতে নেপোলিয়নের প্রচারাভিযানের সময় জাদুঘরের অনেক কাজ লুট করা হয়েছিলো।
  • আমেরিকান স্থপতি আই.এম. পেইয়ের গ্লাস পিরামি আজ লুভারের প্রতীক হিসাবে দেখা যায়, কিন্তু এটি যখন প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে, তখন কিছু সমালোচক এই ঐতিহাসিক প্রাসাদের স্থাপত্য নিরস্ত্রীকরণের সাথে তাল মিলিয়েছিলেন।
  • মোনালিসা ছবিটা যেই ঘরে রাখা আছে, সেই ঘরেই লুভর এর সবচেয়ে বড় ছবিটা রয়েছে, কিন্তু অনেকেই সেটা খেয়াল করেন না। আমিও করিনি।
  • আপনি নেপোলিয়ন III এর সময়কালের মতই ভবনটি দেখতে পাবেন। বিল্ডিং ডিজাইনে তেমন কোন পরিবর্তন আনা হয়নি।

উপরের তথ‍্যগুলো নেট ঘেটে পাওয়া। কারো কোন সাজেশন/কারেকশন থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।

কিভাবে যাবেন:

প্রথমেই আপনার শেনগেন ভিসা যোগাড় করতে হবে। ঢাকায় ফ্রান্স এর নিজস্ব এ‍মব‍্যাসি আছে। এমব‍্যাসির সাইটে গেলেই সব তথ‍্য পাবেন। কাগজপত্র ঠিক থাকলে ভিসা পাওয়া তেমন কোন কঠিন কাজ না। আমার অন্তত কোন সমস‍্যা হয়নি। খুব বড় কোন এমাউন্ট দেখাতেও হয় না। কিন্তু সব দেখে ভিসা অফিসারের যেন মনে হয় আপনি ইউরোপ ভ্রমনের সামর্থ রাখেন।

এরপর প্লেনের টিকেট কাটবেন, প্লেনে উঠবেন, লম্বা দুইটা ঘুম দিবেন। চোখ খুলো আকাশের দিকে তাকালেই বুঝবেন কিছু একটা অন‍্যরকম। গাঢ় নীল আকাশ, থোকা থোকা মেঘ, আর নিচে ছবির মত ম‍্যাপ করা সবুজ দেখেই বুঝে যাবেন আপনি ইউরোপে ঢুকে গেছেন।

এরপর ইমিগ্রেশন পার করে রেল আর মেট্রো ধরে পৌছে যাবেন প‍্যারিস।

গুগল এর একটা অ‍্যাপ আছে – গুগল ট্রিপস। ওটা নামালেই প‍্যারিস আপনার হাতের মুঠোয়। এয়ারপোর্টে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পাবেন ফ্রি তে।

তো আর দেরি কেন? আজই শুরু করে দিন আপনার ইউরোপ ভ্রমনের প্ল‍্যান। শুভকামনা আপনার জন‍্য। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন। আমি যথাসাধ‍্য চেষ্টা করব উত্তর দেবার (যদি উত্তর জানা থাকে)।

লুভর এর সব ছবি: https://web.facebook.com/media/set/?set=a.10155408398294291.1073741861.712709290&type=1&l=437fc20f37

Posted by Rupok Chowdhury

Security Governance and Strategy Analyst at a large corporation. Apple fanboy, Game of Thrones Fan, Photographer, Musician and fun-time Blogger.